সেরা অনলাইন বিজনেস আইডিয়া | শুরু করুন যেকোন একটি। বিশ্বজুড়ে অনলাইনে ব্যবসার পরিধি ও প্রসার এত ব্যাপক হারে বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে। আসছে কয়েক বছরে, বিশ্বব্যাপী মোট জনসংখ্যার ৬০% – ৭০% জন লোক অনলাইনে পন্য ক্রয় করবে।
এছাড়া অনলাইন বিজনেসে লাভের হার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সেরা কয়েকটি নিয়ে এই আর্টিকেলটি প্রকাশ করেছি।
১) সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
বিশ্বব্যাপি যে পরিমাণে সফটওয়্যারের চাহিদা বাড়ছে। সে অনুযায়ী কম্পিটিশন অনেক কম।
তবে, নিম্ন মানের ডেভেলপকৃত সফটওয়্যারের ভ্যালু কখনই বাড়বে না। এটাই স্বাভাবিক।
আপনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য। সফটওয়্যার তৈরি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এই বিজনেসের একটি আকর্ষনীয় সুবিধা হলো। ছোট-খাটো সফটওয়্যার বিক্রি করেও প্রচুর টাকা আয় করা যায়।
তাছাড়া অ্যান্ড্রয়েড প্লে-স্টোর ও আইফোন এর অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করাটা। আপনার প্রতিষ্ঠানের আয়ের একটা বড় উৎস হিসেবে নির্বাচন করলে। ব্যবসায় আরো লাভবান হতে পারবেন।
২) অনলাইন ক্লাস
বর্তমান সময়ের টপ লেভেলের অনলাইন বিজনেস এর মধ্যে অন্যতম “অনলাইন ক্লাস ”।
তবে অনলাইনে ক্লাস শুরু করার পূর্বে। লোক সমাবেশে আপনার ভালো পরিচিতি থাকতে হবে। এই সেক্টরে সফল হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে।
সোস্যাল মিডিয়াতে নিজের সঠিক যোগ্যতা ও দক্ষতাকে তুলে ধরুন। এবং ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে। অন্যদের কাছে নিজের পরিচিতি তুলে ধরুন।
Content Summary
অনলাইন বিজনেস আইডিয়া
৩) স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ যেকোন প্রতিষ্ঠানের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং অনীবার্য।
তাই ছোট-বড় সকল কোম্পানীগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করার জন্য। মোটা অংকের টাকা খরচ করে, শুধু মাত্র তাদের প্রচারের জন্য।
তাই বলতেই পারেন। এটি চাাহিদা সম্পন্ন একটি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া।
৪) এসইও মার্কেটিং বিজনেস
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( এসইও ) বিজনেসকে অনলাইন বিজনেস এর সেরা ও পাওয়ারফুল বিজনেসের মধ্যে অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হয়।
যেকোন ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের একটি স্বপ্ন রয়েছে। আর তা হলো: সার্চ রেজাল্টের প্রথমে তাদের ওয়েবসাইটকে দেখানো।
সুতরাং আপনি চাইলে ওয়েবসাইট মালিকদের এই স্বপ্নটি পূরণ করতে পারেন। এসইও বিজনেস করার মাধ্যমে।
আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করতে।
I’m a SEO Expert since Seven years
৫) ভিডিও এডিটিং বিজনেস
বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডাটা মেইনটেন্স ও রিকোভারি’র মতো। বৃহৎ লাভজনক বিজনেস হলোঃ ভিডিও এডিটিং ব্যবসা।
বিভিন্ন কোম্পানি নিজেদের সেবা ও প্রোডাক্টের প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করে নেয়।
এই সেক্টরটির চাহিদা কখনই ফুরাবে না। তাছাড়া আপনি ইউটিউব ও ফেসবুকসহ বহুল জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও আপলোড করেও। উপার্জন করতে পারবেন। সুতরাং শুরু করুন আপনার ভিডিও ডিজাইন এন্ড এডিটিং বিজনেস সুদক্ষতার সাথে।
৬) ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট বিজনেস
ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর উপর অনলাইন বিজনেস শুরু করতে পারেন আপনিও। কারণ আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে। প্রতিনিয়ত ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরির চাহিদা বাড়ছে।
আবার অনেকেই তাদের পুরাতন ওয়েবসাইটকে আপডেট করার জন্য। ডিজাইনার এবং ডেভেলপার হায়ার করে। আপনি চাইলে এই সেবাটি অনলাইন মাধ্যমে দিতে পারেন।
এছাড়াও ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপ করে। কোডস্টার ও কোডক্যানিওন এর মতো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ বিক্রি করে পেসিভ ইনকাম করতে পারেন।

৭) ডোমেইন ও হোস্টিং বিজনেস
প্রতিদিন ওয়েবসাইট তৈরির চাহিদা বিশালাকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ওয়েবসাইট তৈরির জন্য তো ডোমেইন ও হোস্টিং এর প্রয়োজনই।
ডোমেইন হোস্টিং এর ব্যবসায় কখনই লস নাই। আপনি চাইলে মাত্র ৩০০০ টাকায়ও এই বিজনেসটি শুরু করতে পারেন।
৮) ইউটিউব
ইউটিউব অনলাইন বিজনেস
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা সম্ভব। সেটা কারো অজানা থাকার কথা নয়। আমাদের দেশেই এমন ইউটিউবার রয়েছে।
যারা ইউটিউবে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক কনটেন্ট আপলোড করে আয় করছেন। ইউটিউব বিজনেস শুরু করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো।
প্রাথমিক পর্যায়ে কোন ইনভেস্ট এর প্রয়োজন না হলেও চলে। ( তবে, এটা আপনার কনটেন্ট ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে)।
কোন ধরণের ভিডিও আপলোড করবেন?
আপনি বা আপনার নির্ধারিত টিম। যে বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষভাবে আগ্রহী। সেই বিষয়ের উপর ভিডিও আপলোড করলে। খুব কম সময়ে ব্যবসায় সাফল্য দেখতে পারবেন।

ইউটিউব বিজনেস এ সফল হওয়ার উপায় জানতে পারেন এই লেখাটি থেকে। সুতরাং সবকিছু বিবেচনা করে। সঠিক প্ল্যাণ মতো, শুরু করুন অনলাইন ইউটিউব বিজনেস।
৯) ব্লগিং করে আয়
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সেরা অনলাইন পেসিভ ইনকাম মেথড হচ্ছে। ব্লগিং করে আয়।
ব্লগিং করে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। অনেকেই তাদের ব্লগে বা অন্য কারো ব্লগে আর্টিকেল লেখা-লেখি করে মোটা অংকের টাকা আয় করছে।
ইংরেজি বা বাংলা যেকোন ভাষায় ব্লগিং করে বিভিন্ন উপায়ে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব।
যেসব উপায়ে ব্লগিং করে আয় সম্ভবঃ
- আপনার সাইটে গুগল এডসেন্স এর এ্যাডস দেখিয়ে।
- দেশীয় বিজ্ঞাপন সংস্থার বিজ্ঞাপন বা অন্যকোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখিয়ে।
- পেইড রিভিউ বা স্পনসরড পোস্ট লিখে।
- ব্যাক লিংক বিক্রি করে।
- শর্ট লিংক শেয়ার করে।
- ডাউনলোড লিংক শেয়ার করে।
- রেফারাল লিংক শেয়ার করে।
- পেইড আর্টিকেল লিখে। (নিজের বা অন্য কারো সাইটে )
এছাড়াও এধরণের হাজারো উপায় রয়েছে। যে সকল উপায়ে আপনি নিজের বা অন্য কোন ব্লগ সাইটে ব্লগিং করে আয় করতে পারেন নিঃসন্দেহে।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন।
ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইট এর থিম ও টেমপ্লেটসহ ওয়ার্ডপ্রেস এবং যেকোন কাষ্টম ও ডাইনামিক ওয়েবসাইট ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ- ওয়েবসাইট তৈরির সাথে এসইও সার্ভিস ফ্রি।
এক্ষেত্রে
( অন-পেজ এসইও প্রাথমিক ) Full free.
( অফ-পেজ এসইও পেইড সার্ভিস ) আলোচনা সাপেক্ষে।
অনলাইন ব্যবসার ধারণা
দিন দিন যতো বিজনেস প্রতিষ্ঠানের আবির্ভাব ঘটছে। ততো পরিমাণে সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং এর জন্য চাহিদা বাড়ছে।
সুতরাং আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে। শুরু করতে পারেন। অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবসা।
পরিশেষে, এই পোষ্টটিতে আমি ১০টি সেরা অনলাইন বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।
তবে আপনাকে শুধুমাত্র একয়টির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং আপনি যে বিষয়ে ভালো দক্ষ ও পারদর্শী।
সেই বিষয়ের উপরই অনলাইনে ব্যবসা শুরু করলে। নিশ্চিত সফল হবেন। কারণ, এমন কোন বিজনেস নেই। যেটা অনলাইনে সম্ভব নয়।
- The Best Guide to Buying a Smartphone: What to Keep in Mind
- Effective Strategies: How to reduce mobile phone addiction?
- Kolkata Bengali Actresses Durga Puja Celebrity Fee
- Bangladeshi Actress Pori Moni Announces Divorce from Husband Shariful Raj
- Evil Eye Jewelry: A Growing Trend Among Celebrities
এই পোষ্টটির সম্পূর্ণটা পড়ার পরও যদি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকে। তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই লিখে জানাবেন। আপনার ভবিষ্যত জীবণ সাফল্য-মন্ডিত হোক। এই আশা ব্যক্ত করে এখনকার মতো বিদায় নিচ্ছি। আল বিদা।।