কিভাবে ব্যর্থতা থেকে সফলতা পাওয়া যায়, জানেক কি? আমরা কেবল সফল ব্যক্তিদের সাফল্যের গল্পটাই জেনে উচ্ছসিত হই। তবে “প্রত্যেক সাফল্যের পিছনে লুকিয়ে ছিল ব্যর্থতা”। কেউ একজন বলে গেছেন। “যেখানে ব্যর্থতার শেষ, সেখান থেকেই সফলতার শুরু”। অর্থাৎ ব্যর্থতা থেকে সফলতা আসে।
হুম! চীনসহ বিশ্বের অন্যতম বড় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে অন্যতম। আলীবাবা.কম এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা’র জীবণী থেকে উক্তিটির সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। জ্যাক মা’র আরেক নাম: এ.কে.এ মা ইউন।
কারণ, তিনি ব্যর্থতা থেকে সফলতা পাওয়ার জন্য বার বার একই বিষয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছিলেন।
Content Summary
ব্যর্থতার পরেই সফলতা আসে
আমরা প্রায়ই; বিখ্যাত ও সফল ব্যক্তিদের জীবণী পড়ে বা জেনে অনুপ্রাণিত হই। কিন্তু তারপরও সাফল্য আমাদের হাত-ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায়।
এর কারণ হলো: আমরা কেবল সফল ব্যক্তিদের সাফল্যের গল্পটাই জেনে উচ্ছসিত হই। কিন্তু “প্রত্যেক সাফল্যের পিছনে লুকিয়ে ছিল ব্যর্থতা”
এই কথাটা মানলেও। বাস্তবে কেউ বিশ্বাস করতে জানে না।
আপনি যদি সত্যিই সফল ব্যক্তিদের জীবণ থেকে কিছু শিখতে চান। এবং সফল হওয়ার বিশেষ কৌশলগুলো নিজের মধ্যে জব্দ করতে চান। তাহলে এই গল্পটা পড়ার আগে এটা মেনে নিন যে।
মূলত “ব্যর্থতা থেকে সফলতা আসে”। এবং এই কথাটিও আপনাকে নিজের মাঝে লালন করতে হবে। “প্রত্যেক ব্যর্থতার মধ্যেই সাফল্য নিহিত”।
তো এই গল্পটি হচ্ছে: ব্যর্থতা থেকে সফলতার গল্প। যা আপনাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করবে। তো চলুন শুরু করা যাক:
প্রতিদিন আলীবাবা.কমে কয়েক কোটি ক্রেতা পণ্য কিনতে আসে।
এবং এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র চীনে প্রায় চল্লিশ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
এবং ইন্টারনেশনাল এই বিজনেস টু বিজনেস (B2B) ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি ২০০৯ ইং এর দিকে তাদের লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
আলীবাবা থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় একশত মিলিয়ন চাকরি তৈরি করা হবে। এবং দশ মিলিয়ন কর্মী সরাসরি আলীবাবা’র হয়ে কাজ করবে।
সাফল্যের পথে চলতে শিখুন
জ্যাক মা’র আদর্শে না চললেও। আপনি যেকোন সৎ উপায়ে, সাফল্যের পথে চলতে শিখুন।
৪ এপ্রিল ১৯৯৯ ইং সনে। জ্যাকসহ মোট ১৮ জন কর্মী নিয়ে আলীবাবা’র পথ চলা শুরু হয়েছিল।
যেখানে ছোট্ট একটি রুমে বসে অফিসের কার্য করা হতো। সেখানে আজ বিশাল আকৃতির জায়গায় বিস্তৃত এই প্রতিষ্ঠানটিতে, প্রায় ৩০ হাজার কর্মী রয়েছে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটি কনফারেন্সে। জ্যাক মা’ নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বলেছেন। “১৫ বছর আগে আমরা কিছুই ছিলাম না।
১৫ বছর পূর্বের কথা ভাবলে, আমরা হয়তো এখন বৃহৎ কোম্পানি। এবং আগামী ১৫ বছর পরের কথা ভাবলে মনে হয়। আমরা এখনোও একটি শিশুর মতো ছোট্ট কোম্পানী মাত্র।”
আলীবাবা.কম পৃথিবীর অন্যতম বড় মার্কেটপ্লেস। এখন পর্যন্ত আলিবাবার আইপিওর মূল্য ২৫ বিলিয়ন ডলার (১৩-০৮-২০১৮ ইং অনুযায়ী)।
ক্ষুদ্র থেকে এতো বৃহৎ কোম্পানীতে পরিণত করতে জ্যাক মা’কে প্রচুর বাধাঁ ও ব্যর্থতাকে সামাল দিতে হয়েছে।
কিন্তু তিনি কখনই হার মানার ব্যক্তি ছিলেন না। পরাজয়কে বরণ করে নিয়েছে। এবং ঝুঁকি নিয়ে হলেও, জয়ে রুপান্তর করেছে পরাজয়কে।
ব্যবসায় বিশ্বাসকে প্রাধান্য দিন
ব্যবসার প্রথম শর্ত
আলীবাবা এর প্রতিষ্ঠাতা #জ্যাক_মা ব্যবসায় বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেন অনেক বেশি। কারণ কয়েক বছর আগে।
যখন যুক্তরাষ্ট্রে আলীবাবা’র বিজনেস মডেলের মতো, অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বিজনেস মডেল ছিল না।
তখন অনেকেই ধারণা করত: আলিবাবা’র বিজনেস মডেল খুবই ভয়ংকর। তখন গুগল ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানীকে, লোকেরা বিশ্বাসের সাথে মেনে নিয়েছিল।
অর্থাৎ বিশ্বাসের দিক থেকে। আলীবাবা.কম ছিল খুবই ছোট ও নতুন ধারার কোম্পানী। এজন্যই লোকেরা এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে এতো দুর্বল আস্থা রাখতো।
আরও পড়ুন: ব্যবসা শুরু করার সঠিক উপায়
কারণ, অনলাইনে ই-কমার্স বিপ্লব এমন একটি বিশ্বাসের নাম। যেখানে মানুষজন, একজন আরেক-জনকে চেনে না।
“আপনি হয়তো আমাকে চিনেন না, তবুও আপনি আমাকে ঠিকই টাকা পাঠান। আর আমিও হয়তো আপনাকে চিনি না; কিন্তু আমি আপনাকে পণ্য পাঠাই।”
যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের ধারণা পাল্টে দিতে। এবং সারা বিশ্বের কাছে আলীবাবা’কে গ্রহণীয় করতে। সর্বপ্রথম তিনি বিশ্বাসের জায়গাটা বড় করার চেষ্টা করেছেন
তারপর জ্যাক মা’কে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। এখন তিনি আজ, শুধুমাত্র “বিশ্বাস” এর আদান-প্রদানের কারণেই। দিব্যি সাফল্যের সুখ উপভোগ করছেন।
জ্যাক মা’ প্রায়ই নিজেকে ও অন্যদের বলে থাকেন। “লোকজন আমাদের ব্যাপারে যা ভাবে। আমরা তার চাইতেও ভালো।”
লোকেরা আপনাকে অনেক কিছু্ বলবেই। তাই বলে, তার জন্য মন খারাপ করে। থেমে থাকলে চলবে না।
সময়ের সাথে সাথে; সবকিছুই বদলে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে আলীবাবা আজ বিশ্বাসের জায়গা জুড়ে নিয়েছে।
আর রীতি-মত সবাই! আলীবাবা’কে বেশ বড় কোম্পানী ভাবে। কিন্তু জ্যাক মা’ মনে করেন।
এটি বড় কোন কোম্পানী নয়। বরং কিছু সময়ের ব্যবধানের ১টি ই-কমার্স বিপ্লব মাত্র।
পড়তে পারেন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন $100
এই কোম্পানীটি এত সুনামের সাথে বিখ্যাত হওয়ার পিছনে। ২৭/২৮ বছরের কয়েকজন তরুণের অবদান অনস্বীকার্য।
কারণ তারা প্রতিষ্ঠানটির জন্য এমন কিছু কাজ করছে। যা কিনা অন্য কেউ এর আগে; কখনই করার কথা ভাবেনি।
ব্যর্থতা থেকে সফলতা
১৫ ই অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জ্যাক মা’ চীনে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি এতোটাই অমেধাবী ছাত্র ছিলেন যে! প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষায়, দু’বার ফেল করায়।
জন্মস্থান হাংজু শহরে মাত্র একটি মাধ্যমিক স্কুল ছিল। সেখানে তাকে বারবার প্রত্যাক্ষিত হতে হয়েছে। কিন্তু ভাগ্যিস বশত।
বারবার ভর্তিতে প্রত্যাখ্যিত হয়েও। বিশেষ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভর্তি হন।
এখানেও তার আরেক ব্যর্থতার ইতিহাস রচিত হয়েছে। তিনি মাধ্যমিক স্কুল থেকে পাশ করার পর। কলেজে ভর্তির জন্য অ্যাপ্লাই করেন।
এবং দু’দুই বার ফেল করার পর। ভালো করে পড়া-লেখা করে, তৃতীয় বারের মতো ভর্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা করেন।
সেবার তার কষ্টের ফল পান। এবং কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য চান্স পান।
চীনে তখন সবে মাত্র সাংস্কৃতিক আন্দোলন শেষ হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করলেন। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় তিনবার ফেল করেন।
ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির আগে চাকরির জন্য এপ্লাই করেও ত্রিশ (৩০) বারের মতো প্রত্যাখ্যিত হয়েছেন। বরং ব্যর্থতা থেকে সফলতা পাওয়ার জন্যই আবারো অন্যভাবে চেষ্টা করেছিলেন।
এই লেখাটির অধিকাংশ কথাগুলো জ্যাক মা’র বলা সংকলিত বক্তব্য।
তিনি এই কথাগুলো কোন এক বক্তব্যে বলেছিলেন।
তিনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে আবেগ প্রবন হয়ে বলেছিলেন। “এখনোও মানুষ আমাকে প্রত্যাখ্যান করে”।
ব্যর্থতার আরেক ইতিহাস রচিত হলো

জ্যাক মা’র মাতৃভুমি “চীন” এ যখন কেএফসি (KFC) আসে। তখন চব্বিশ (২৪) জন লোক চাকরির জন্য আবেদন করলেও। তেইশ জনের চাকরি করার সুযোগ হয়। শুধু একজনই বাদ পড়েন।
আর সেই মানুষটিই হচ্ছে: বিখ্যাত ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস “আলীবাবা.কম এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা”। এখান থেকেও তার ব্যর্থতার আরেক ইতিহাস রচিত হলো।
এমনও হয়েছে। পাঁচজন মানুষের মধ্যে চারজনের চাকরি হয়েছে। আর বাকি একজন: জ্যাক মা’র চাকরি হয়নি। এই মানুষটি “প্রত্যাখ্যানের পরও প্রত্যাখ্যিত হয়েছে”।
তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যও আবেদন করেছিলেন। তাকে সেখানেও প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি ১০ বার আবেদন করেছিলেন। প্রত্যেকবার লিখেছিলেন: “আমি ভর্তি হতে চাই”।
কিন্তু তিনি প্রতি বারই প্রত্যাখ্যিত হন। এতো ব্যর্থতার পরও, তিনি কখনোও হাল ছাড়েননি। বরং ব্যর্থতা থেকে সফলতা পাওয়ার জন্যই আবারো অন্যভাবে চেষ্টা করেছিলেন।
আপনি হয়তো বাঙালি হিসেবে ভেবে থাকেন। আমি বাংলায় ভাষী। উচ্চশিক্ষার জন্য ইংরেজি শিখাটা; বেশ কঠিন হবে আমার জন্য। তাই হয়তো অনেক সময়। অলসতাকে নিজের অজান্তে স্বদুর্বলতা ভেবে। মাঝে মাঝে ইংরেজি শিখতে বসেও। থেমে যান।
আমার (লেখক হাফিজুর রহমান) বেলায়ও ঠিক এর বিপরিত হয়নি। আমি জ্যাক মা’র জীবণী জানার পর। ফেসবুকে ইংরেজিতে চ্যাট করা শুরু করি। এবং ইংরেজি ভাষী ও অভিজ্ঞ বন্ধুদের সাথে ‘ভয়েস কল’ করি।
ইংরেজিতে এখন বেশ অভিজ্ঞ। বলতে পারেন; নিয়মিত বিদেশি বায়ারদের সাথে ইংরেজিতে কমিউনিকেট করি।
চীন তখনও শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এতোটা এগিয়ে ছিলনা। এবং সেখানে ইংরেজি শেখার ভালো কোন সুযোগও ছিল না। তাই তিনি নয় বছর যাবৎ একটি হোটেলে; বিনা বেতনে পর্যটকদের গাইডের কাজ করেছেন। এবং পশ্চিমা ঢংঙে ইংরেজিতে কথা বলা শিখেছেন।
আমরা স্কুল আর পরিবারের কাছ থেকে যা কিছু শিখি। এবং বাহিরের মানুষ জনের কাছ থেকে যা কিছু শিখি।
তা কখনই এক নয়। জ্যাক মা’র বেলায়ও ভিন্ন কিছু ঘটেনি। সে জন্যই তিনি নিজের জন্য পর্যটকদের সাথে থেকে।
ইংরেজি শেখার ভিন্ন এই অভ্যাসটি গড়ে তুলেছিলেন।
সুতরাং জীবণে সফল হতে গেলে। আর সবাই যা কিছু করছে। তাই করুন। কিন্তু সবাই সেই কাজটি যেভাবে করছে বা করেছে।
আপনি তার চেয়ে ভিন্নভাবে করুন। আরও ভালো হয়। যদি আপনি সম্পূর্ণ সৃজনশীল কিছু করতে পারেন।
১৯৯৫ সাল। যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসে। শিয়ার্টলের তার কোন এক বন্ধুর কাছ থেকে প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান।
তখন যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেট ছিল ভীষণ ধীর গতির।
যদিও ওয়ার্ড উইড ওয়েব (WWW) ১৯৯০ ইং সনে প্রথম শুরু হয়েছিল
প্রথমে ভয়ে কম্পিউটার স্পর্শ করার সাহস পাননি। কারণ চীনে তখন, কম্পিউটারের অনেক দাম ছিল।
নষ্ট হয়ে গেলে, জরিমানা দেওয়ার মতো সামর্থ, তার কাছে ছিলনা। অবশেষে তার ঐ বন্ধুর উৎসাহেই ইন্টারনেটে সার্চ করেন।
আর সেবারই প্রথম; তিনি ‘ই-মেইল’ শব্দটি শুনেন।
ভালো বন্ধুর সাহায্য ও সমর্থন পেলে। আপনার জীবণ অনেকটাই উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
আর এর প্রমাণস্বরুপ: জ্যাক মা’র জীবণী থেকে আমি বুঝতে পারলাম।
জ্যাক মা’ তারপর ইন্টারনেট ভিত্তিক কিছু করার চেষ্টা শুরু করেন। সে সময়ে, ইয়াহু (Yahoo) সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিল।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ
বিখ্যাত আরব্য উপন্যাস “এক হাজার এবং এক রাত” এর গল্প ‘আলিবাবা ও চল্লিশ চোর’।
এই গল্পের প্রধান চরিত্র আলীবাবা’র নামেই জ্যাক মা’ তার প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেন।
সুতরাং আপনিও আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন একটি নাম নির্বাচন করতে পারেন। যাতে সহজেই সবার কাছে।
জ্যাক মা অনুধাবন করেন যে। মানুষ একে অন্যকে কম বিশ্বাস করে। তাই তিনি আলীবাবা.কম প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই। অনলাইনে বিশ্বাসের একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করেন।
যার ফলে, লোকেরা আলীবাবাতে প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন বার বেঁচা-কেনা করতে আসে।
জ্যাক মা’ মনে করেন। আলিবাবা’র সাফল্যের অন্যতম লুকানো সূত্র হচ্ছে: লিঙ্গ বৈষম্যতা। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানটিতে পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারীও কাজ করে।
শুধু আলিবাবাতেই সাত চল্লিশ (৪৭) শতাংশ কর্মী হচ্ছেন: নারী। এবং সব অফিস মিলিয়ে ৫৩ শতাংশ কর্মীই নারী।
এই প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ম্যানেজমেন্টে। তেত্রিশ শতাংশই নারী। এবং আরো উচ্চপর্যায়ে চব্বিশ শতাংশ নারী কর্মী রয়েছে।
একুশ শতকে আপনাকে জিততে হলে: অন্যকে স্বাবলম্বী করতে হবে। নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়ে।
আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন: আপনি তখনই সফল হতে পারবেন। যখন আপনি অন্যের অবস্থার উন্নতি করতে পারবেন।
বেকার না থেকে, কাজ করুন। অথবা নির্দিষ্ট কাজ না পেলে কোন না কোন কিছু করতে থাকুন। অলস হয়ে বসে থাকবেন না। কারণ, অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা।
আপনি হয়তো জানেন না। চীনের ৮০% তরুণ শুধুমাত্র কাজের গুণেই সফল হয়েছেন।
অথচ তাদের অধিকাংশরাই দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। এবং তাঁদের বড়লোক বাবা নেই।
অথবা ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার মতো তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সামর্থ নেই। বুদ্ধি খাটিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেই তারা আজ সফল।
জীবনে সফল হতে হলে। সময় বুঝে সুযোগের সদ্ব্যবহারও করতে হয়। নিজের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে।
এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভরসা রেখে এগিয়ে যেতে হয়। এক কথায়, আত্নবিশ্বাস নিয়ে কাজ করলে। আপনি সফল হবেনই হবেন। ইনশাআল্লাহ্।
জ্যাক মা’র কারি-কারবার দেখে শুরুতে অনেকেই তাকে পাগল বলে ডাকতো। বিখ্যাত গণমাধ্যম “টাইম ম্যাগাজিন”ও তাকে “পাগল জ্যাক” বলে আখ্যায়িত করেছিল।
কিন্তু নিজের ব্যাপারে এতো কটু কথা শুনেও এই মানুষটি পিছিয়ে যাননি। বরং তিনি নিজেকে উচ্ছসিত করার জন্য তিরস্কারকারীদেরকে বলতেনঃ-
আমি পাগল, তবে নির্বোধ নই।
জ্যাক এর এই কথাটি থেকে শিক্ষনীয় বিষয় হলো। “পাছে লোকে কটু কথা বলবেই”।
তাছাড়া আপনি যখন ভালো কিছু করতে যাবেন। তখন অনেকেই তিরস্কারের স্বরে, আপনাকে বিভিন্ন কিছু বলবে। কিন্তু দমে যাবেন না।
অন্তত এইটুকু মনে-প্রাণে বিশ্বাস করুন। “হার-জিত” এবং “ব্যর্থতা-সফলতা” মানুষের জীবণেই আসে।
তাই বলে কেউ সারা জীবণেই পরাজিত থাকে না। এবং সারা জীবণই “ব্যর্থ” হয়ে বেঁচে থাকতে পারে না।
পরিশেষে, বলতে হয়। আপনি যদি জীবণে কিছু করতে চান। তাহলে ভালো কিছু প্রত্যাশা করতে শিখুন।
এবং সঠিক বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কিছু করুন। ব্যর্থতা থেকে সফলতা অর্জনের জন্য শিক্ষা নিন।
এ ব্যাপারে, জনাব বাহার ইকবাল সাহেব একটা কথা বলেছেন। “জীবণে বলার মতো একটা গল্প তৈরি করুন”।
যাই হোক। জ্যাক মা’র জীবণীর উল্লিখিত টপিকগুলো থেকে শিক্ষনীয় বিষয় হলো।
নিজের মনকে বড় করুন। নিজের সংস্কৃতিকে বড় করুন। নিজের মূল্যবোধকে শক্ত করুন। এবং নিজের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে শিখুন।
সবশেষে, আপনি যদি জীবণে বলার মতো গল্প তৈরি করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম মানুষের কাছে আপনার “বিশ্বাস” এর জায়গাটা বড় করে তুলুন। এবং অন্যকে স্বাবলম্বী করুন।
- সেরা ১০টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া – যেকোন ১টি শুরু করুন আজই
- Can I Use My Insurance to Rent a Car? 10 Q&a to Rent a Car
- Auto Insurance Quotes – Quick and Free Car Insurance Quote
- Instant Car Insurance Quote – Best Auto Insurance Quotes
- 7 Best health insurance Guideline for employers to provide
এবং বাধা আসলে, থেমে থাকবেন না। বরং র্বর্থতা থেকে সফলতা পাওয়ার জন্য, আপনার কৃত ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সঠিকটা করার শিক্ষা অর্জন করুন। দেখবেন, আপনিও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আপনার ভবিষ্যত জীবণের সাফল্য কামনা করে, এখনকার মতো শেষ করছি। ধন্যবাদ।।