মোবাশ্বিরা কামাল ইরা: বাতাসের সাথে চলে যার ব্যালে ডান্স (Mubashshira Kamal Era)
স্বপ্নের এই সুন্দর পৃথিবীতে, বাংলার মোবাশ্বিরা কামাল ইরা (নওগাঁ’র মেয়ে) এমন এক তরুণী শিল্পীর নাম যার স্বপ্নের আকাঙ্ক্ষা খোলা আকাশের মতো সীমাহীন। মোবাশ্বিরা কামালের নামটি যেন সৃজনশীলতার সাথে প্রাণবন্ত ভাবে অনুরিত হয়; যাকে একসময় নওগাঁর বাড়ি বলা হতো, তবে বর্তমানে ঢাকার রোমাঞ্চকর দুঃসাহসিক ব্যালে ডান্স শুরু করে জনপ্রিয়তার শীর্ষ থেকে বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু করেছেন।
Content Summary
মোবাশ্বিরা কামাল ইরা: শুরুটা হয়েছিল শুধু নৃত্য দিয়ে

শুরুতেই মোবাশ্বিরা নৃত্য শিল্পের মধ্যে থেকে নৃতজগতে যাত্রা শুরু করলেও, তার কোমল পায়ের ছন্দের স্পন্দন এবং অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যম খুঁজে পেয়েছিল এক অনন্য সৃজনশীলতার দিকে। ফলস্বরূপ একজন দক্ষ চিত্রশিল্পীর মত বিভিন্ন স্ট্রোক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর মোবাশ্বিরার শৈল্পিক বিবর্তন তাকে টেনিসের সুইফট কোড থেকে মার্শাল আর্টের শৃঙ্খলাবদ্ধ করিডোর পর্যন্ত বিভিন্ন রূপে আলিঙ্গন করতে পরিচালিত করছিল।
আকাশের সাথে যার নাচের ঘনিষ্ঠতা মিলে

ইরা শুরু থেকে নিজের মধ্যে নৃত্য জগতের নতুনত্ব খোঁজার চেষ্টা করছিল। তার প্রতিভার প্রমাণস্বরূপ বেলে ড্যান্সের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার ফলে; খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঝুলন্ত রিং এর সাথে নিজের সৌহার্দ্য ও ঘনিষ্ঠতার ভাব উজ্জ্বল তীব্রতার সাথে গড়ে তুলেছে। জনপ্রিয়তার একটি মুহূর্তও শেষ হওয়ার আগেই বাতাসের বান্ধবী খ্যাত মেয়েটি রিং এর সাথে ড্যান্স করার আরেকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়! এ যেন মোবাশ্বিরা কামাল ইরা’র নিয়মিত এক শৈল্পিক চেতনার নিরলস সাধনার খেল।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মোবাশ্বিরাকে ডাকে বৈশ্বিক মঞ্চের ডাক

নৃত্য ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই মোবাশ্বিরার স্বপ্ন ছিল নিজের প্রতিভাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বিকাশ করার, হলোও তাই! বাতাসের সাথে শুধুমাত্র একটি রিং দিয়ে ব্যালে ড্যান্স করে বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার অন্যতম শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছেন ইরা। ভক্তদের উদ্দেশ্যে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করতে গিয়ে এটাও জানান যে: তার এই শিক্ষাকে আরো উচ্চ স্তরে রূপান্তর করতে তিনি বিদেশ গিয়েও প্রশিক্ষণ নিতে চান।
মোবাশ্বিরা কামালের হৃদয়গ্রাহী প্রস্তাব
সাহস, অদম্য ইচ্ছা শক্তি এবং একনিষ্ঠ মনোযোগের সাথে মোবাশ্বিরা কামাল যোগের শৈল্পিক চাহিদার এক অনন্য উদাহরণ। নওগাঁ জেলার এই মেয়েটি, দেশের হাজারো তরুন-তরুণী শিল্পীদের আশা আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্ন দেখার সাহসকে বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
নিজ শহর নওগাঁ বাসীর আশা-ভরসা, পরম শ্রদ্ধেয় তার মা ফাহমিদা আক্তার এর অদম্য সমর্থন, এবং মোবাশ্বিরার নিজস্ব শৈল্পি প্রকাশের নিরলস প্রচেষ্টা তাকে বিশ্বব্যাপী ভক্তদের ভালোবাসা পেতে সাহায্য করেছে। মোবাশ্বিরা যার ক্রমাগত সমর্থন এবং প্রেরণাদায়ক পরামর্শের কারণে আজ তার নিজের জায়গাটি স্তম্ভের মত শক্ত করতে পেরেছে, সেই জনাব আব্দুল মাতলুব আহমদের নাম উল্লেখ না করলেই নয়! সবার আড়ালে থাকা আব্দুল মতলব মোবাশিরা কে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে আসতে সামর্থ্য যোগ্য সহায়তা করেছে, যার জন্য তার প্রতি বাতাসের সাথে ঘনিষ্ঠ জুড়ে দেওয়া ব্যালে ডান্সারমোবাশ্বিরা কামাল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
পড়ুনঃ সেরা ০৫ টি মুভি ২০২৩: প্রিয়তমা, সুড়ঙ্গ সহ ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত যে ০৫ টি ছবি এখনো রাজত্ব করছে
নানা রকম গোলযোগ, আর যান্ত্রিক কৃত্রিম শৈলির এই যুগে মোবাশ্বিরা যেভাবে শৈল্পিকতার সীমানাও অতিক্রম করেছে, তা আমাদের মাঝে এক সাফল্যের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে দৃশ্যায়ামান থাকবে। শেষ বেলায় শুধু এতোটুকুই বলবো: মোবাশ্বিরা কামাল ইরা’র গল্পটি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে: শিল্প-কর্মসহ যে কোন কাজে আবেগ, নতুনত্ব আবিষ্কারের প্রচেষ্টা, মনোযোগের সাথে একনিষ্ঠ ভাবে লেগে থাকা এবং নিরলস অনুশীলন করার মাধ্যমে সাফল্যের চূড়া ছুঁয়েও তা অতিক্রম করা যায়।